খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা।

 

আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা,

আজকে আমরা আলোচনা করবো খালি পেটে কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে।

শরীর ঠিক থাকলে মন ঠিক থাকে, মন ঠিক আছে তো সব ঠিক ৷ 

বিভিন্ন ফলে বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমারা সবাই জানি না।

তাহলে চলুন আজকে আমারা জানবো কিসমিসের উপকারিতা সম্পর্কে।

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে পাওয়া যায় ২৯৯ কিলোক্যালরি শক্তি।

কার্বোহাইড্রেট ৭৯.১৮ গ্রাম।

প্রোটিন ৩.০৭ গ্রাম।

ফ্যাট ০.৪৬ গ্রাম।

ফাইবার ৩.০৭ গ্রাম।

পটাসিয়াম ৭৪৯ মিলিগ্রাম।

চিনি ৫৯.১৯ গ্রাম।

ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম।

সোডিয়াম ১১ মিলিগ্রাম।

ম্যাগনেসিয়াম ৩২ মিলিগ্রাম।

আয়রন ১.৮৮ মিলিগ্রাম।

কপার ০.৩২ মিলিগ্রাম।

ফসফরাস ১০১ মিলিগ্রাম।

সেলেনিয়াম ০.৬০ মিলিগ্রাম।

জিংক ০.২২ মিলিগ্রাম।

এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স,সি, ই, কে,এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

১) রক্তশূন্যতা রোধ করে:

প্রতি ১০০ গ্রামে ১.৮৮ মিলিগ্রাম আয়রন এবং ০.৩২ মিলিগ্রাম কপার যা শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে।

২) পেটের জন্য উপকারী:

প্রতি ১০০ গ্রাম কিসমিসে পাওয়া যায় ৩.৭ গ্রাম ফাইবার যাপেট ভালো রাখতে বেশ কার্যকর। এছাড়াও এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

৩) দাঁত ও মুখের সুরক্ষা:

লিনোলিক অ্যাসিড ও ওলিওনলিক অ্যাসিড এবং লিনোলেনিক অ্যাসিড সহ কিসমিসে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যাল মুখের অভ্যন্তরের ব্যাকটেরিয়াকে প্রতিরোধ করে এতে মুখ ও দাঁত সুস্থ থাকে।

৪) এসিডিটি কমাতে সহায়তা করে:

কিসমিসে রয়েছে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম। পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম এর ক্ষারীয় ধর্মের জন্য এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে।

৫) হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:

কিসমিসে পটাশিয়ামের উপস্থিতি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় নিয়মিত কিসমিস খেলে হৃদরোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৬) ত্বককে সুরক্ষিত রাখে:

কিসমিসে থাকা ভিটামিন সি, সেলেনিয়াম, জিংক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর সম্মিলিত ক্রিয়া ত্বককে সুস্থ, সুন্দর রাখে।

৭) শরীরে শক্তি সরবরাহ করে:

শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কিসমিস বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৮) চোখের জন্য উপকারি:

পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর  উপস্থিতি থাকায় চোখের বেশ কিছু সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করে।

৯) ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে:

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ফ্যাক্ট দমনে কিসমিস বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

১০) হাড়ের সুরক্ষা:

বোরন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়াতে দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।

এগুলো ছিল কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা।এখন আসি কিসমিস ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা তে।

কিসমিস সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিসমিসে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সহজেই পানিতে মিশে যায় যা আমাদের শরীর আরো সহজে নিতে পারে। তাই সকালে খালি পেটে ভেজানো কিসমিস সহ পানি খেলে উপরোক্ত উপকারিতা গুলো আরো ভালো ভাবে পাওয়া যায়।

তো আজকে এই পর্যন্তই, ধন্যবাদ।